পত্রিকা রিভিউ
নতুন মুখ
'নতুন মুখ' (বৈশাখ ১৪২৯) ১১ বছর ধরে নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে ছোটদের ষান্মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। প্রতিটি সংখ্যার মতো এটিতেও ইংরেজি এবং বাংলা ভাষার লেখক-শিল্পীরা তাঁদের সৃষ্টিকর্ম তুলে ধরেছেন।
প্রচ্ছদসহ প্রতিটি সুনির্বাচিত লেখা এবং ছবি বেশ আকর্ষণীয়। সুদূর কলকাতা থেকে বহুদূরে সাগরদ্বীপ থেকে এরকম একটি পত্রিকা প্রকাশ দুঃসাহসের ব্যাপার। সম্পাদকের দায়বদ্ধতা এবং ভালোবাসা যথেষ্ট সমীহ জাগায়। কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ, গল্প, সাক্ষাৎকার, ভ্রমণ এবং গ্রন্থ সমালোচনা অজস্র বিভাগ রয়েছে।
কবি মোহিনীমোহন গঙ্গোপাধ্যায় থেকে, কার্তিক ঘোষ, ওয়াজেদ আলি, বীথি চট্টোপাধ্যায়, তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনির্মল চক্রবর্তী, রতনতনু ঘাটী, কাজী মুরশিদুল আরেফিন, হাননান আহসান প্রমুখ সাম্প্রতিককালের তাবড় তাবড় শিশু সাহিত্যিক ও কবিগণ উপস্থিত আছেন। প্রতিটি পৃষ্ঠা ঝরঝরে মার্জিত রুচিসম্মত।
ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সাহেরী বিশ্বাস যখন লেখেন: "তোমার বুকে উদ্ভাসিত/ ভোরের উদিত ভানু/ তোমার ভুবনে আলোর মেলা/ অস্তরাগের ইন্দ্রধনু"। তখন সচকিত হয়ে ভাবতে বসি পত্রিকার মেধাবী আলোকচ্ছটা কতখানি তীব্র। এরই পাশাপাশি যখন হাননান আহসান লেখেন:
"আর এক ভাইয়ের দিদির ছেলে মহীপ্রসাদ দামাই/ ইচ্ছে বড়ো হবেন তিনি মহারাজের জামাই।" তখন দারুণ রসসিক্ত হয়ে যায় মন। কল্পনার আনন্দে ভেসে যাই উৎপলকুমার ধারার ছড়ায়:"স্বপ্ন দেবো আকাশমোড়া নীলের চাদর/ রঙ ছড়ানো সূর্য ওঠার স্বপ্নালো ভোর"। নিজেকে মুক্ত করে ফেলি পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠায়।
কাজী মুরশিদুল আরেফিন "লিখেছেন সকাল আমাকে ডাকে, দিনটা হলো শুরু" এই শুরু যেন শেষ হতে চায় না। শতবর্ষের আলোকে নজরুলকে নিয়ে লিখেছেন আশিস্ কুমার ভূঁইয়া, কবি জীবনানন্দকে নিয়ে লিখেছেন বিধান সাহা, কবি সুনির্মল চক্রবর্তীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আশিস্ কুমার ভূঁইয়া, সুচিত চক্রবর্তীর বই আলোচনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
ইংরেজি ভাষার লেখক লেখিকাদের যথেষ্ট মুনশিয়ানা চোখে পড়ে। এঁদের মধ্যে উল্লেখ্য সৌমাল্য কর, স্নিগ্ধা কুণ্ডু, দেবাদৃতা আচার্য, জয়দেব দাস উল্লেখযোগ্য। লেখার সঙ্গে সঙ্গে ছবিগুলিও ভালো লাগার বিষয়।
সব রকমের যোগাযোগ: সম্পাদক আশীষ কুমার ভূঁইয়া, শিলপাড়া, ডাকঘর-মুড়িগঙ্গা,দক্ষিণ২৪পরগনা

Post a Comment